Featured post

কৌশিকী অমাবস্যার মূল রহস্য

আজ কৌশিকী অমাবস্যা, অন্য সব অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা কারণ তন্ত্র মতে ও শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথি টি একটু বিশেষ কারণ অনেক কঠিন ও...

Contact us

Name

Email *

Message *

Total Pageviews

Ads

Share Our Page

Entertainment

Fun & Fashion

International

Latest Updates

কৌশিকী অমাবস্যার তাৎপর্য

13:15:00

তারাপীঠ: মার্কেণ্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধের জন্য 'দেবী দুর্গা' যখন ক্রোধান্বিত হন তখন তাঁর ভ্রূকুটি যুগল থেকে 'কৌশিকী দেবী' আবির্ভূতা হন এবং অসুর ভাতৃদ্বয় শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেন। সেই থেকেই এই কৌশিকী দেবী 'কালী' তথা 'মহাকালী' রূপে পূজিতা হন। হিন্দু ধর্ম মতে এই অমাবস্যা তিথি নক্ষত্রেই কৌশিকী দেবী আবির্ভূতা হন। আর সেই কারণেই এই অমাবস্যা তিথি নক্ষত্রের নামকরণ হয় কৌশিকী অমাবস্যা।   

এবার জেনে নেওয়া যাক এই অমাবস্যার তাৎপর্য- 

চণ্ডী অনুযায়ী এই কৌশিকী অমাবস্যা বছরের আর বাকি অমাবস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি...। 
এই অমাবস্যায় গোটা ব্রহ্মাণ্ডে দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা 'তারা দেবী'কে 'মহাকালী' রূপে আহ্বান করা হয়। কথিত আছে, এই দিনেই নাকি সাধক শ্রেষ্ঠ বামাক্ষ্যাপা তাঁর 'বড় মা' অর্থাৎ 'তারা দেবী'র দর্শন পেয়ে সিদ্ধিলাভ করেন। বলা হয়, এই দিনে কোনও ভক্ত 'তারা দেবী'কে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলে তার মনঃস্কামনা পূর্ণ হয়। উল্লেখ্য, প্রতিবছরই আজকের দিনে বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরেও 'মহাকালী'র আহ্বান করা হয়।  

রহস্যময় প্রাচীন দেবভূমি কেদারনাথ মন্দিরের এই পাঁচটি অজানা তথ্য..এগুলি জানলে নাকি পুণ্য লাভ হবেই

10:30:00

কেদারনাথ মন্দিরটি হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩হাজার ৫৮৩মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই মন্দিরটি৷

 ভারতের উত্তরাখন্ডের গাড়োয়াল পর্বতে মন্দাকিনী নদীর তীরে অবস্থিত এই শিব মন্দিরটি৷ তবে, শীতকালে কেদারনাথ মন্দিরটি বরফে ঢাকা পড়ে যাওয়ায় মূর্তিগুলিকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়৷

কথিত আছে, আদি শঙ্কর বর্তমান স্থানে মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন৷ একটি বিখ্যাত জ্যোতির্লিঙ্গের জন্যই এই মন্দিরটি বিখ্যাত৷ পাণ্ডবেরা এখানে তপস্যা করেই শিবকে তুষ্ট করার জন্য এখানে শিবের পূজা করেন৷ যদিও মহাভারত মহাকাব্যেও এই মন্দিরটির উল্লেখ রয়েছে৷ এটি উত্তর হিমালয়ের ছোট চারধাম তীর্থযাত্রার অন্যতম৷



 এই কেদারনাথ মন্দিরটিকে ঘিরেই রয়েছে বেশ কিছু তথ্য যা সকলেরই অজানা৷

 ১) কেদারনাথ মন্দিরে একটি ত্রিভুজাকৃতি জ্যোতির্লিঙ্গ কেদারনাথ মন্দিরে পূজা করা হয়৷
 ২) মহাভারত মহকাব্য অনুযায়ী, বেদব্যাসের নির্দেশে কেদারনাথে শিবকে তুষ্ট করার জন্য পূজা করেন পাণ্ডবেরা৷ কুরক্ষেত্র যুদ্ধে তাদের সমস্ত পাপ দূর করার জন্যই তার কেদারনাথে শিবের পূজা করতে যায়৷ শেষ অবধি তারা ভগবানকে তুষ্ট করতে সক্ষমও হয়েছিলেন৷
৩) তীব্র শীতের জন্য মন্দিরটি কেবল এপ্রিল মাসের শেষ থেকে কার্তিক পূর্ণিমা অবধি খোলা থাকে৷ শীতকালে কেদারনাথ মন্দিরের মূর্তিগুলিকে ছয়মাসের জন্য উখিমঠে(রুদ্রপ্রয়াগে) নিয়ে গিয়ে পূজা করা হয়৷
৪) কেদারনাথ মন্দিরটি একটি মন্দির নয়৷ পরপর পাঁচটি মন্দির একসঙ্গে রয়েছে এখানে৷ কথিত আছে, শিবের আলাদা আলাদা পাঁচটি অঙ্গ এখানে পড়েছিল৷ এই পাঁচটি মন্দির হল- কেদারনাথ, রুদ্রনাথ, কল্পেশ্বর, টুঙ্গানাথ, মধ্যমাহেশ্বর৷
৫) এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরই কেদারনাথ মন্দির যাত্রার জন্য একেবারে আদর্শ৷

সব মেয়েরা কেন শিবঠাকুরের মতো স্বামী চান, জেনে নিন পাঁচটি মূল কারন

02:11:00

তারাপীঠ ওয়েবসাইট: হিন্দু ধর্মের মেয়েরা চিরকাল শিবঠাকুরের মতো স্বামী চেয়ে এসেছে। কিন্তু কেন? আসলে হিন্দু ধর্মের মেয়েরা স্বামীর মধ্যে ঠিক কোন কোন গুণগুলো চান, যেগুলো শিবঠাকুরের মধ্যে রয়েছে? এক ঝলকে দেখে নিন...

১) শান্ত প্রকৃতি কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী - শিবঠাকুর বেশিরভাগ সময়ই ধ্যানমগ্ন থাকেন। এর ফলে তিনি খুবই শান্ত প্রকৃতির। যেকোনও কঠিন পরিস্থিতিতেই তিনি শান্ত থাকতে পারেন। আবার যখনই কোনও শয়তানের আবির্ভাব হয়, শিবঠাকুর রেগে যান। এবং সেই শয়তানের বিনাশ করেন। মেয়েরাও তাঁদের স্বামীর মধ্যে এই গুণটা চান।

২) ছাপোষা কিন্তু শারীরিক কাঠামোয় সুশ্রী - শিবঠাকুরের শারীরিক কাঠামো যেকোনও মানুষকে আকৃষ্ট করবে। যাকে বলে, টল, ডার্ক এবং হ্যান্ডসাম। এবং তিনি খুবই সিম্পল। পোশাকের কোনও চাহিদা নেই। পাশাপাশি দারুণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী।

৩) অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো - মেয়েরা চান তাঁদের স্বামী যেন, যেকোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। যেমন শিবঠাকুর। যখনই কেউ কখনও বিপদে পড়েন, শিবঠাকুর তাঁকে সাহায্য করেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

৪) মাটিতে পা রেখে চলা - শিবঠাকুর এত শক্তির আধার হয়েও কখনও কেউকেটা মনে করেন না নিজেকে। বরং, নম্রতা, ভদ্রতা, সংযম তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ। একটু দুধ, অল্প একটু ফুলেই তিনি তুষ্ট। মেয়েরাও চান এরকম সরল সাদাসাধি স্বামী পেতে।

৫) আদ্যন্ত সংসারি - মেয়েরা চান সুন্দর করে ঘর বাঁধতে। সংসার করতে। যেমন শিবঠাকুর। তিনি তাঁর স্ত্রী পার্বতী, দুই ছেলে গণেশ এবং কার্তিক এবং দুই মেয়ে লক্ষ্ণী এবং সরস্বতীকে নিয়ে দিব্যি সংসার করেন। আবার স্বর্গ, মর্ত্য, পাতালেরও খেয়াল রাখেন।

তারাপীঠের রথযাত্রাকে ঘিরে অনেক অজানা ঘটনা

00:59:00


তারাপীঠের রথে অধিষ্ঠাত্রী থাকেন ‘মা তারা’। রবিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় মা তারাকে ওই রথে বসিয়ে ঘোরানো হয় তারাপীঠ। ঐদিন মধ্যাহ্ন ভোগের পর বিকেল তিনটের সময় রীঁ মাকে গর্ভমন্দির থেকে বের করে, রথে প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাকে রাজবেশে সাজিয়ে তুলে মায়ের রথযাত্রার আরম্ভ হয়। মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বার থেকে শুরু হয়ে, দ্বারকা ব্রিজ সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড, তারাপীঠ থানা হয়ে পূর্বসাগর মোড় তারপর তিনমাথা মোড় হয়ে পুনরায় পূর্বসাগর মোড়ে এসে রথযাত্রার সমাপ্তি ঘটে।


 🎈 মাকে মূল মন্দিরে নিয়ে এসে শুরু হয় সন্ধ্যারতি। এবছরও একইভাবে এই বিশেষ দিনটিকে পালন করা হযেছে। মায়ের রথ থেকে ভক্তদের উদ্দেশে প্যাড়া, বাতাসা নকুলদানা ইত্যাদি মহাপ্রসাদ স্বরূপ বিতরণ করা হয়। হাজার হাজার পুর্ণার্থী রথের দড়িতে টান দেন। রথযাত্রা উপলক্ষে জিলিপি, পাঁপড় ভাজা, মাটির পুতুল, বেলুন ইত্যাদি বিক্রি হয়ে থাকে। তারাপীঠের স্থানীয় যারা, কাজের সূত্রে যারা বাইরে থাকেন তাঁরাও বাড়ি ফিরে আসেন মায়ের এই রথের টানে।


 ⏺️উল্টোরথের দিনেও একই ছবি দেখা যায় তারাপীঠে।





মূল ভাবনা, লেখা, তথ্য, ছবি-
      শ্রী কৌশিক মুখার্জী
(Priest, Tarapith Temple)


কেন অন্যান্য অমাবস্যার থেকে আলাদা কৌশিকী অমাবস্যা?

23:30:00

🔶 দেবী তারার অপর নাম কৌশিকী। শুম্ভ নিশুম্ভের অত্যাচার থেকে অব্যাহতি পেতে দেবতারা দেবভূমি হিমালয়ে পর্বতীর জন্য তপস্যা শুরু করেন। 
শুম্ভ নিশুম্ভকে বধ করতে দেবী নিজ দেহকোষ থেকে বের হয়ে আর এক দেবীমূর্তিতে আবির্ভাব হয়েছিলেন। যার নাম কৌশিকী।

🔷 অন্যদিকে ১২৭৪ বঙ্গাব্দে কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সাধক বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন।
 🔹 তাই এই বিশেষ তিথিতে মায়ের পুজো দিয়ে পুন্য অর্জনের জন্য কয়েক লক্ষাধিক ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে তারাপীঠে।

💠💠 কিন্তু সময়ের অভাবে বা ব্যাস্ততার কারণে অনেক ভক্ত এসে পৌঁছাতে পারেননা মায়ের কাছে,
তাই যে সকল ভক্তবৃন্দ কৌশিকী অমাবস্যায় পুজো দিতে ইচ্ছুক ,🔘 তাঁরা নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে আপনার পূজা পাঠিয়ে দিন আগামী 19th আগস্টের মধ্যে।
⤵⤵⤵⤵⤵







- Contact Us -
Email Id
Admin@Tarapith.in
OnlinePuja@Tarapith.in
Taramaa.Temple@Gmail.com
TaraMataPuja@Gmail.com

Helpline No-
+91-8116473491, +91-7583916838
Also Available on Whatsapp


বড়বেলুনের বড়কালীমাতার মাহাত্ম্য ও মন্দিরের ইতিহাস

Greatness-of-BorokaliMata-Barabelun

বড়কালীমাতার ইতিহাসঃ-

আনুমানিক ৭০০ বছর আগে স্থাপিত হয়েছিল মা বড়মায়ের (বড়কালীমাতা) মন্দির। সাধক ভৃগুরাম স্বামী মায়ের মন্দিরের স্থাপন করেছিলের। 

বড়বেলুন গ্রামের ঐতিহাসিকতা:-

বড়বেলুন গ্রাম, যা বর্ধমান জেলার একটি প্রাচীনতম গ্রাম হিসাবে পরিচিত। এই গ্রামের আগে নাম ছিল বিল্বপত্তন, বিল্বপত্তন থেকে নাম হয়েছে বেলুন, বেলুন থেকে বড়বেলুন। এই বড়বেলুন গ্রামে যেখানে এখন মানুষ বসবাস করে সেই জায়গায় আগে মহাশ্মশান ছিল। কোনো মানুষ সেখানে বাস করতেন না।

পুরো ঠিকানা:- গ্রাম এবং পোষ্ট - বড়বেলুন, জেলা - বর্ধমান, রাজ্য- পশ্চিমবঙ্গ, দেশ- ভারতবর্ষ


-: বড়কালীমাতার আদ্যকথা :-



বড়বেলুন ভট্টাচার্য্য বংশের আদিবাস, মন্দির স্থাপয়িতা শক্তিপীঠের মহানুভব মহাসাধক স্বামী ভৃগুরাম বিদ্যাবাগীশ মহাশয় ৫১ সতীপীঠের মধ্যে কেতুগ্রামে বকুলা নদীতীরে মরাঘাটে "বহুলাপীঠ" এ তপস্যায় নিমগ্ন ছিলেন। তপস্যারত থাকা অবস্থায় তিনি স্বপ্নাদেশ পান, তিনি যেন বড়বেলুন গ্রামের মহাশ্মশানে এসে "পঞ্চমুণ্ডী" আসন স্থাপন করেন। তিনি মায়ের আদেশানুসারে এই গ্রামে এসে পঞ্চমুণ্ডী আসন স্থাপন করেন। এই স্থান উপপীঠ "শক্তিপীঠ" নামে অভিহিত। একসময় সিদ্ধিলাভের জন্য বহু বিভূতি এই স্থানে প্রদর্শন করতেন। ভৃগুরাম স্বামী নিজের হাতে মায়ে একটি ছোটো মূর্তি স্থাপন করে পূজা-অর্চনা করতেন। তিনি পঞ্চমুণ্ডি আসনে বসে যোগাসন করতেন। তার এই গ্রামে পরিচয় ছিল "বুড়ো গোঁসাই" নামে। খুব সাধারন ভাবেই কাটাতেন তিনি দিন কাল, তার প্রতিবেশী ছিল ভূত, পেত্নী, শকুন ও শৃগাল। তিনি একদিন মায়ের মূর্তি গড়ে স্নান করতে গেলেন, স্নান সেরে ফিরে আসার পর দেখে যে বেদীর ওপর মায়ের মূর্তি স্থাপন করেছিলেন সেই বেদী নেই, তালপাতার ছাউনি ভেঙে গেছে। দাঁড়িয়ে আছে সেখানে বিশালাকার ভীষন বদনা মূর্তি। ভৃগুরাম ভয়ে মাতৃ স্তব করতে লাগলেন, এবং সেখান থেকে চলে যেতে চাইলেন। সেই সময় অভয় দিয়ে মা তাকে বলেন, ওরে পুত্র ভৃগুরাম এই মূর্তি থাকবে আমার "বুড়ীমাতা" নাম। তার পর থেকে ভৃগুরাম সেই ভীষনা মূর্তি পূজা করতে লাগলেন। এবার আসতে আসতে ভৃগুরাম বয়স্ক হচ্ছেন, তাহার যখন ৯৫ বৎসর বয়স তিনি মা বড়মায়ের স্বপ্নাদেশ পান -মা তাহাকে বলেন তুই মারা গেলে আমার পূজা অর্চনা কে করবে!! তাই তুই বিবাহ কর, তুই বিবাহ করলে তোর পুত্ররা বংশগত ভাবে আমার পূজা করবে। মা তাকে বলেন এই বিল্বপত্তন (বড়বেলুন) গ্রামের রাজা নারায়ন চন্দ্র রায়ের একমাত্র গুরুকন্যা অমাবস্যাতিথিতে সর্পাঘাতে মারা যাবে, তার মুখে একমুঠো চিতাভষ্ম দিয়ে জীবন দান করিয়া তাঁহাকে বিবাহ করবি। মায়ের কথা মতো অমাবস্যা দিন সর্পাঘাতের মারা যাওয়া ব্রাহ্মণ কন্যাকে শ্মশানে দাহন করার জন্য আনলে, ভৃগুরাম তাহাকে অবাক হয়ে দেখেন, দেখেন মায়ের মহিমা।। তারপর মায়ের আদেশ মতো একমুঠো চিতাভষ্ম মেয়েটি মুখে দিতেই মায়ের আশিষে মেয়েটি বেঁচে উঠলেন। তারপর ভৃগুরাম তার পরিবারে সব ঘটনা বললেন এবং ওই ব্রাহ্মণ কন্যাকে বিবাহ করেন। এরপর তাহার তিন পুত্র হয়। নাম ছিল শিবচরন ন্যায়ালঙ্কার, শঙ্কর প্রসাদ বেদান্তবাগীশ ও গোবর্দ্ধন চুড়ামণি, ডাক নাম ছিল নেঙ্গুর, ভেঙ্গুর ও পীতাম্বর। ভৃগুরামের বয়স যখন ১৩৫ বৎসর তখন মায়ের স্বপ্নাদেশ পান এবার তাকে জগৎ সংসার ছাড়তে হবে, তাই মাকে তার পুত্র দের হাতে তুলে দিতে হবে। ভৃগুরাম খুশি হয়ে তার পুত্রদের ডাকলেন এবং সব কথা বললেন। তারপর কিছু দিনের মধ্যে তিনি গত হলেন। তার পুত্রদের মধ্যে শিবচরন ন্যায়ালঙ্কার (নেঙ্গুর) বিবাহ করেছিলেন তাই তার বংশ পরম্পরায় মায়ের সেবা করে আসছেন। 


-: বড়কালীমাতার পূজা :-


মা বড়কালীমাতার (মা বড়মায়ের) বিগ্রহ সারা বছর মন্দিরে স্থাপিত থাকে না। দূর্গাপূজার চারদিন পর কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার দিন মায়ের তৈরির কাজ শুরু করা হয়, মায়ের উচ্চতা হয় প্রায় ৩০ ফুট। ভাড়া (মই) খাটিয়ে মায়ের মূর্তি নির্মাণের করা হয়। পূজার দুদিন আগে মায়ের মূর্তি গড়ার কাজ (দুমেটে) সম্পূর্ণ হয়।

সংযমের দিন মায়ের মূর্তিতে খড়িমাটি লাগানো হয়। পূজার দিন দুপুর থেকে মায়ের বিশালাকার মূর্তিতে শুরু হয় রং করা হয়, সন্ধ্যায় ডাঁকের সাঁঝ লাগানো হয়, ধীরে ধীরে রাত্রি হতে থাকে, তারপর মায়ের প্রণামী আসা অসংখ্য বিশালাকার মালা, চাঁদমালা, পড়ানো হয়, ও মায়ের প্রণামি আসা বেনারসী শাড়ির কিছু সংখ্যক মায়ের হাতে তোলা হয়। এই পর্ব সম্পূর্ণ হলে আসে মায়ের গহনা । টানা ৮-৯ ঘন্টা চলে এই পুরো পর্ব, বহু মানুষ ওই স্থানে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেন গোটা পর্বটি। তারপর বংশের দুইজন পুরোহিত আসে এবং তারা ভাড়ার উপরে উঠে মায়ের চক্ষুদান করেন। তারপর সব কিছু হয়ে গেলে ঘর পরিষ্কার করে, ভাড়া খুলে দেওয়া হয়। শুরু হয় পূজো। এরপর সারারাত্রি ব্যাপি চলে পূজো ও বলিদান পর্ব। এইসব শেষ হতে হতে ভোর হয়ে যায়। সকালে মায়ের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। সকাল থেকেই হাজার হাজার ভক্তের ভিড় হতে শুরু হয়ে যায়। লাইন দিয়ে চলে পূজা দেবার পর্ব। সারাদিন মন্দির চত্বরে থাকে হাজার হাজার ভক্তের আনাগোনা । এই দিন মধ্যরাত্রিতে মায়ের ঘট বির্সজন করা হয়। পরের দিন সকালেও থাকে সেই একই ভিড় মায়ের মন্দির চত্বরে । লাইন দিয়ে ভক্তরা মায়ের পূজা দেন। দুপুর হতেই মায়ের গহনা খোলা হয়, ও মায়ের বির্ষজনের জন্য চারচাঁকা বিস্তৃত ইস্পাতের সাগর প্রস্তুত করা হয়। ৩:০০টে - ৩:৩০ নাগাদ মায়ের এই বিশালাকার মূর্তিটি ওই সাগরে বাঁধা হয়। বিকাল ৪:০০ টে নাগাদ মাকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী বড়পুখুর ঘাটে। ওখানেই মায়ের বির্ষজন সম্পন্ন হয়। 

-: আতিথ্য দান :-

প্রতিবছর পূজার দুদিন লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। থাকে পুলিশ নিরাপত্তা। মায়ের মন্দির রকমারি আলো দিয়ে সাজানো হয়। এই সময় গোটা গ্রাম থাকে আলোয় আলো।। প্রতিটি বাড়ি থাকে আত্মীয়পরিজনে ভর্তি। পূজোয় শুধু গ্রামের মানুষ না, বহু দেশ দেশান্তর থেকে মানুষ সমাগম হয়। মন্দির চত্বর থাকে সবসময় ভরপুর মানুষ। মন্দির চত্বরের পাশে বাচ্ছাদের বিনোদনের জন্য থাকে বিরাট মেলা, সেখানে থাকে পঞ্চাশ থেকে ষাটোর্ধে মেলা, এবং থাকে নাগড়দোল্লাও। এছাড়া থাকে রকমারি খাবারের বহু দোকান। সবমিলিয়ে বলাই যায় ভরপুর বিনোদন।


মূল তথ্য-  ঁশ্রী রাম কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য [তান্ত্রিকাচার্য্য]
পুনঃ সংস্করণ, ছবি, তথ্য -ঁশ্রী রাম কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্যের নাতি শ্রী ক্ষীরোদ প্রসাদ ভট্টাচার্য্য


তারাপীঠের দর্শনীয় স্থানাদিদর্শন

02:26:00
--
১. আটলা
বামদেবের জন্মস্থান।
দূরত্ব ৩ কিমি।

--
২. বীরচন্দ্রপুর
নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর জন্মস্থান।
ইসকন সহ আরো অনেক দর্শনীয় মন্দির। দূরত্ব ১০ কিমি।

--
৩. মল্লারপুর - মল্লেশ্বর লিঙ্গরাজ শিব। দূরত্ব ২০ কিমি।

--
৪. বিখ্যাত জয়দেবের কেন্দুলির মেলা.. দূরত্ব - ৮০ কিমি।

--
৫. কলেশ্বর - বাবা কলেশনাথ শিব। দূরত্ব
- ৩৫ কিমি।





মূল ভাবনা, লেখা, তথ্য, ছবি-
      শ্রী কৌশিক মুখার্জী
(Priest, Tarapith Temple)

৬টি জাগ্রত পীঠস্থান: যেগুলি তারাপীঠ এলে একবার যাওয়া দরকার

16:34:00


তারাপীঠের কাছে অবস্থিত ৬টি মহাপীঠস্থান।

তারাপীঠে মায়ে দর্শনের জন্য এলে, এই ৬টি স্থান একবার ঘুরে আসা দরকার। পীঠস্থান গুলি তারাপীঠের কাছাকাছি অবস্থিত, এই সমস্ত পীঠস্থানগুলি একদিনেই ঘুরে তারাপীঠ ফেরা যাবে।


১. নলহাটি - মা নলাটেশ্বরী --
তারাপীঠ থেকে প্রাইভেট অটো বা গাড়ি করে যাওয়া হয়। দূরত্ব -২৫ কিমি।



২. সাঁইথিয়া - মা নন্দেকেশ্বরী-
তারাপীঠ থেকে বেসরকারি বাস, প্রাইভেট অটো বা গাড়ি করে যাওয়া হয়। দূরত্ব -৩২ কিমি।
এছাড়া রামপুরহাট রেল স্টেশন থেকেও ট্রেনে করেও যাওয়া যায়।


৩. লাভপুর - মা ফুল্লরা -
তারাপীঠ থেকে প্রাইভেট গাড়ি করেই এখানে যাওয়া হয়। দূরত্ব -৬০ কিমি।


৪. বক্রেশ্বর - বাবা বক্রেস্বর ও উষ্ণ প্রসবন--
তারাপীঠ থেকে প্রাইভেট গাড়ি করে যাওয়া হয়। দূরত্ব -৭৫ কিমি।


৫. কঙ্কালীতলা - মা কঙ্কালী-
তারাপীঠ থেকে প্রাইভেট গাড়ি করে যাওয়া হয়। দূরত্ব -৯০ কিমি।
এছাড়াও রামপুরহাট রেল স্টেশন থেকেও ট্রেনে করে প্রান্তিক স্টেশনে নেমে ভ্যান বা টোটো করে যাওয়া যায়।

৬. আকালীপুর - গুরজয়া মা কালী-
মহারাজা নন্দকুমারের প্রতিষ্ঠিত।
দূরত্ব - তারাপীঠ থেকে ৪৪ কিমি
প্রাইভেট গাড়ি করেই এখানে যাওয়া হয়।




মূল ভাবনা, লেখা, তথ্য, ছবি - 
~শ্রী কৌশিক মুখার্জী~
(Priest, Tarapith Temple)

ॐ ॐ মা তারামায়ের ধ্যান মন্ত্র ॐ ॐ

18:17:00

🌺🌺🌺 ॐॐॐ তারার ধ্যান ॐॐॐ 🌺🌺🌺 
------ওঁ------
ॐ প্রত্যালীঢ়পদাং ঘোরাং মুণ্ডমালাবিভূষিতাম্। 
খর্ব্বাং লম্বোদরীং ভীমাং ব্যাঘ্রচর্ম্মাবৃতাং কটৌ।। নবযৌবনসম্পন্নাং পঞ্চমুদ্রাবিভূষিতাম্। 
চতুর্ভূজাং লোলজিহ্বাং মহাভীমাং বরপ্রদাম্। খড়্গকর্ত্তৃসমাযুক্তসব্যেতরভূজদ্বয়াম্। 
কপালোৎপল-সংযুক্তসব্যপাণিযুগান্বিতাম্।। 
পিঙ্গাগ্রৌকজটাং ধ্যায়েন্মৌলিবক্ষভ্যভূষিতাম্।
 বালার্কমণ্ডলাকা 
রলোচনত্রয়ভূষিতাম্।। 
জলচ্চিতামধ্যগতাং ঘোরদংষ্ট্রাং করালিনীম্।
 স্বাবেশস্মেরবদনাং স্ত্র্যলঙ্কারবিভূষিতাম্।। 
বিশ্বব্যাপক তোয়াস্ত শ্বেতপদ্মোপরিস্থিতাম্। 
অক্ষ্যেভ্যো দেবীমূর্দ্ধন্যস্ত্রীমূর্ত্তিনাগরূপধৃক্।।

কেন স্তম্ভকেশ্বর শিবমন্দিরটি আশ্চর্যজনক?

16:37:00

স্তম্ভেশ্বর মন্দির


স্তম্ভকেশ্বর শিবমন্দিরের আশ্চর্যজনক কাহিনী

আরব সাগরের কোলে এ এক অপূর্ব আশ্চর্য মন্দির।প্রতিদিন সে মিলিয়ে যায় সমুদ্রের জলে। আবার ভাটার সময় জেগে ওঠে সমুদ্র থেকে। মুখে মুখে মন্দিরটির নাম হয়ে গেছে ‘ ডিজঅ্যাপিয়ারিং টেম্পল‘ বা বিলীয়মান মন্দির।

বিলীয়মান মন্দির

গুজরাটের বরোদা শহর থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে কভি কম্বোই নামে একটি ছোট্ট শহরে আছে এই শিবমন্দিরটি। ১৫০ বছরের পুরোন এই মন্দিরের পোশাকি নাম স্তম্ভেশ্বর মন্দির। আরব সাগরের কোলে কাম্বে উপসাগরের মাঝে আছে এই উপাসনালয়। জোয়ারের সময় সমুদ্রের নোনা জল গ্রাস করে নেয় মন্দিরটিকে। তখন আর কিছুই দেখা যায না। কিছু ছিল বলেও মনে হয় না। আবার ভাটার সময় ধীরে ধীরে জল চলে গিয়ে সমুদ্র থেকে মহাদেবের এই মন্দিরটি জেগে ওঠে।




রোজ একবার করে প্রায় সম্পূর্ণ জলের নীচে চলে যায় মন্দির। আবার ভাটায় দেখা দিতে আসে ভক্তদের। সে দেখার মতো দৃশ্য। তিল তিল করে জল এসে ঢেকে দেয় তাকে। আবার একটু একটু করে জল সরে গিয়ে দৃশ্যমান হয়।



তখন ভক্তরা প্রবেশ করে পুজো অর্চনা করে  এমনকী ঘুরেও বেড়ানো যায় মন্দির লাগোয়া পটভূমিতে। কিন্তু জোয়ার আসার আগে খালি করে দেওয়া হয় মন্দির প্রাঙ্গণ। প্রকৃতিদেবী নিজেই শিবলিঙ্গের জল-অভিষেকের আয়োজন করেন। প্রতি অমাবস্যায় এখানে ধূমধাম করে শিবপুজো হয়। দুধের বদলে দেবতার অভিষেক হয় তেল দিয়ে। পুজোর করার পর ভক্তদের অন্যতম আকর্ষণ হল জোয়ার ভাটায় সঙ্গে মন্দিরের লুকোচুরি খেলা দেখা। জোয়ার ভাটায় মন্দিরের অদৃশ্য এবং দৃশ্যমান হওয়া দেখতে ভক্ত পর্যটকরা সারাদিনই ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকেন সমুদ্র তীরে বেশ লাগে। হর হর মহাদেব।



--------------o--------------


Writer - Goutam Biswas
  ( Copyright Protected )
 
Copyright © Tarapith - The Land Of TaraMata. Designed by OddThemes | Distributed By Gooyaabi Templates