Featured post

কৌশিকী অমাবস্যার মূল রহস্য

আজ কৌশিকী অমাবস্যা, অন্য সব অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা কারণ তন্ত্র মতে ও শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথি টি একটু বিশেষ কারণ অনেক কঠিন ও...

Contact us

Name

Email *

Message *

Total Pageviews

Ads

Share Our Page

কেন স্তম্ভকেশ্বর শিবমন্দিরটি আশ্চর্যজনক?


স্তম্ভেশ্বর মন্দির


স্তম্ভকেশ্বর শিবমন্দিরের আশ্চর্যজনক কাহিনী

আরব সাগরের কোলে এ এক অপূর্ব আশ্চর্য মন্দির।প্রতিদিন সে মিলিয়ে যায় সমুদ্রের জলে। আবার ভাটার সময় জেগে ওঠে সমুদ্র থেকে। মুখে মুখে মন্দিরটির নাম হয়ে গেছে ‘ ডিজঅ্যাপিয়ারিং টেম্পল‘ বা বিলীয়মান মন্দির।

বিলীয়মান মন্দির

গুজরাটের বরোদা শহর থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে কভি কম্বোই নামে একটি ছোট্ট শহরে আছে এই শিবমন্দিরটি। ১৫০ বছরের পুরোন এই মন্দিরের পোশাকি নাম স্তম্ভেশ্বর মন্দির। আরব সাগরের কোলে কাম্বে উপসাগরের মাঝে আছে এই উপাসনালয়। জোয়ারের সময় সমুদ্রের নোনা জল গ্রাস করে নেয় মন্দিরটিকে। তখন আর কিছুই দেখা যায না। কিছু ছিল বলেও মনে হয় না। আবার ভাটার সময় ধীরে ধীরে জল চলে গিয়ে সমুদ্র থেকে মহাদেবের এই মন্দিরটি জেগে ওঠে।




রোজ একবার করে প্রায় সম্পূর্ণ জলের নীচে চলে যায় মন্দির। আবার ভাটায় দেখা দিতে আসে ভক্তদের। সে দেখার মতো দৃশ্য। তিল তিল করে জল এসে ঢেকে দেয় তাকে। আবার একটু একটু করে জল সরে গিয়ে দৃশ্যমান হয়।



তখন ভক্তরা প্রবেশ করে পুজো অর্চনা করে  এমনকী ঘুরেও বেড়ানো যায় মন্দির লাগোয়া পটভূমিতে। কিন্তু জোয়ার আসার আগে খালি করে দেওয়া হয় মন্দির প্রাঙ্গণ। প্রকৃতিদেবী নিজেই শিবলিঙ্গের জল-অভিষেকের আয়োজন করেন। প্রতি অমাবস্যায় এখানে ধূমধাম করে শিবপুজো হয়। দুধের বদলে দেবতার অভিষেক হয় তেল দিয়ে। পুজোর করার পর ভক্তদের অন্যতম আকর্ষণ হল জোয়ার ভাটায় সঙ্গে মন্দিরের লুকোচুরি খেলা দেখা। জোয়ার ভাটায় মন্দিরের অদৃশ্য এবং দৃশ্যমান হওয়া দেখতে ভক্ত পর্যটকরা সারাদিনই ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকেন সমুদ্র তীরে বেশ লাগে। হর হর মহাদেব।



--------------o--------------


Writer - Goutam Biswas
  ( Copyright Protected )

Share this:

Post a Comment

 
Copyright © Tarapith - The Land Of TaraMata. Designed by OddThemes | Distributed By Gooyaabi Templates