Featured post

কৌশিকী অমাবস্যার মূল রহস্য

আজ কৌশিকী অমাবস্যা, অন্য সব অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা কারণ তন্ত্র মতে ও শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথি টি একটু বিশেষ কারণ অনেক কঠিন ও...

Contact us

Name

Email *

Message *

Total Pageviews

Ads

Share Our Page

Entertainment

Fun & Fashion

International

Latest Updates

Showing posts with label বামাক্ষাপা বাবার জীবনী : পর্ব - ৫. Show all posts
Showing posts with label বামাক্ষাপা বাবার জীবনী : পর্ব - ৫. Show all posts

গুরুদেব শ্রীশ্রী বামাক্ষ্যাপা বাবার জীবনী পর্ব - ৬


আচ্ছা বাবা, ঠাকুরকে যে অত অত ফলের ভোগ
দেওয়া হয়, ঠাকুর ওসব খায়?
ছেলের প্রশ্ন শুনে দারিয়ে পরলেন সর্বানন্দ।
 এ প্রশ্ন তো জা তা প্রশ্ন নয় - এ যে বর কঠিন প্রশ্ন।
তবুও উত্তর দিলেন তিনি।
বলেন হাসি মুখেই - খায় বাবা নিচ্ছই খায়।
তবে মা তো আর ছেলেরা না খেলে আগে খেতে পারে না।
পৃথিবীসূদ্ব এতো অনাহারি সন্তান।
তাদের না খাইয়ে মা কি করে খেতে পারে?
তোমার খাওয়া না হলে তোমার মা খাবে?
বাবার কথা মন দিয়ে শুনলেন বামাচরন,
কিন্তু কথা গুলো ঠিক মনঃপুত হল না।
কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো বামাচরন, তারপর আবার প্রশ্ন
 - আচ্ছা বাবা, মাটির ঠাকুর কথা কয়?
 এবার আরও অবাক হলেন বাবা। এ একদম ছেলেমানুষি প্রশ্ন।
উত্তর দিলেন ছেলের প্রশ্নে.. বললেন হ্যাঁ হ্যাঁ, কথা কয়।
মাটির ঠাকুর কে বলবে? মাটিটা তো বাইরের আবরন।
ওই মাটির মূর্তির ভিতরে লুকিয়ে আছে চিন্ময়ী -মূর্তি।
কিন্তু মূর্তি তো সবাই দেখতে পায় না।
যারা তারাই সাধনবলে দেখতে পায়।
মৃন্ময়ী - মূর্তির মধ্যে সাধনা করে দেবীর প্রান প্রতিষ্ঠা হয়।
তখন আর দেবী কথা না বলে পারেন না।
আর কিছু ভাবনা নাই বামাচারনের।
বাবার কথা সত্য বলেই বিশ্বাস বামার মনে।
মাটির ঠাকুরও কথা বলে, কিন্তু সেই মাটির ঠাকুরের মধ্যে প্রান প্রতিষ্ঠা।
আর তার জন্য দরকার সাধনা।
সাধক তার সাধনার বলে দেবীর প্রান প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
 তখন বলে দেবী,- ভোগ প্রসাদ খায়।
..... এই সব কথা ভাবতে ভাবতে বাবার পিছনে পিছনে হাঁটতে থাকে বামাচরন...










গুরুদেব শ্রীশ্রী বামাক্ষ্যাপা বাবার জীবনী পর্ব- ৫


ছেলেটা তো অ,আ লেখেনি, 
সে লিখেছে জয় তারা" জয় তারা", 
সব পাতাতেই একই কথা লিখেছে - 
" জয় তারা" জয় তারা", 
 বাড়িতে সর্বানন্দের কাছে একটু আধটু 
আর লেখা শিখেছিলেন বামাচারন।
 সেই বিদ‍্যাই এখানে ফলিয়াছে সে। 
গুরুমশাই গম্ভীর হয়ে গেলেন। 
মনে মনে ভাবলেন, না এ ছেলের লেখাপড়া হবে না। 
এর পেছনে সুধু সুধু সময় নষ্ট করা। 
পরেরদিনই সর্বানন্দকে ডেকে বললেন
 - তোমার ছেলেকে তুমি নিয়ে যাও সর্বানন্দ। 
লেখাপড়া এর হবে না।
 অতএব বামাচরনের লেখাপড়ার এখানেই ইতি। 
বাবার সাথে মাঝেমাঝে তারাপীঠের মন্দিরে যায় বামাচারন। 
বাবা সর্বানন্দ সেখানে বেহালা বাজিয়ে
 গান করেন আর বামাচারন নাচে। 
স্রোতা গন সর্বানন্দের কণ্ঠে শ‍্যামাসগঙ্গীত শুনে,
 আর বামাচরনের কচি কচি হাত পা নেরে নাচ 
দেখে মহিত হয়ে পরে। 
এক দিন মন্দির থেকে ফিরছে বামাচারন। 
এমন সময় এক অদ্ভুত প্রশ্ন করল বাবাকে আচ্ছা বাবা....







 
Copyright © Tarapith - The Land Of TaraMata. Designed by OddThemes | Distributed By Gooyaabi Templates