Featured post

কৌশিকী অমাবস্যার মূল রহস্য

আজ কৌশিকী অমাবস্যা, অন্য সব অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা কারণ তন্ত্র মতে ও শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথি টি একটু বিশেষ কারণ অনেক কঠিন ও...

Contact us

Name

Email *

Message *

Total Pageviews

Ads

Share Our Page

কালীপূজায় মায়ের ভোগ..


কালীপুজোর দিন মাকে দেওয়া হয় 'রাজকীয় ভোগ।' সকালে দেবীকে তিন রকম অন্নভোগ দেওয়া হয়- পোলাও, খিচুড়ি এবং সাদা অন্ন। সঙ্গে থাকে পাঁচ রকম ভাজা, তিন রকম তরকারি। চারাপোনা, কাতলা, রুই-সহ বিভিন্ন মাছের ভোগ থাকে। তান্ত্রিক মতে নিবেদিত বলির পাঁঠার মাংস, কারণ বারি সহযোগে নিবেদিত হয়। আর থাকে পায়েস, চাটনি, দই, আর পাঁচ রকম মিষ্টি। রাতে খিচুড়িই প্রাধান্য পায়। চাল-ডাল মিলিয়ে প্রায় দেড় কুইন্টাল, ১০টি বড় হাঁড়িতে রান্না হয়। করলা, বেগুন, আলু, এমন পাঁচ রকম সব্জির ভাজা, তরকারি, শোল মাছ পোড়া, ও বলি-দেওয়া পাঁঠার মাংস। সঙ্গে পাত্রে থাকে কারণবারি। মন্দির কর্তৃপক্ষ যেমন ভোগ নিবেদন করেন, তেমনই ভক্তেরাও তাঁদের ইচ্ছেমতো সব্জি, মাছ, মাংসের ভোগ নিবেদন করেন তারামাকে। তারাপীঠ মন্দিরের ভোগ রান্না করছেন বংশপরম্পরায় ময়ূরেশ্বর থানার দক্ষিণগ্রামের কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে থাকেন তারাপীঠের মন্দিরের সদস্যরা। কালীপুজোর ভোগের রান্না করেন এঁরা জনা পনেরো ব্যক্তি। ভোর থেকে দুপুরের ভোগ রান্না শুরু হয়, আর দুপুরের পরেই শুরু রাতের ভোগের রান্না। ভোগগৃহ, নাটমন্দিরে বসে প্রসাদ খান সহস্রাধিক ভক্ত। আরও অনেক প্রসাদ নিয়ে বাড়িতে গিয়ে
খান। কালীপুজোর দিনের সাক্ষী থাকতে তারাপীঠে প্রতিবছর সকাল থেকেই প্রচুর ভক্ত সমাগম ঘটে । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্দিরের বাইরে লাইন বাড়ে। এমনকি রাজ্যের বাইরে থেকেও বহু ভক্ত ভিড় জমান পূণ্যলাভের আশায় । এছাড়া ভক্তদের পাশাপাশি মন্দিরে ভিড় জমান বহু সাধু সন্ন্যাসীও. আঁটোসাটো করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও.


Share this:

Post a Comment

 
Copyright © Tarapith - The Land Of TaraMata. Designed by OddThemes | Distributed By Gooyaabi Templates