Featured post

কৌশিকী অমাবস্যার মূল রহস্য

আজ কৌশিকী অমাবস্যা, অন্য সব অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা কারণ তন্ত্র মতে ও শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথি টি একটু বিশেষ কারণ অনেক কঠিন ও...

Contact us

Name

Email *

Message *

Total Pageviews

Ads

Share Our Page

তারাপীঠ মন্দিরের কাছে অবস্থিত বহু প্রাচীন একটি দেবীপীঠ : মৌলীক্ষা মাতার মন্দির


★★★মৌলীক্ষা মাতা★★★
--------------------------------
তারাপীঠ মন্দিরের কাছে অবস্থিত বহু প্রাচীন মৌলীক্ষা দেবীপীঠ ।
এই মন্দিরকে মুলুটি মায়ের মন্দির বলা যায় ।
 তারাপীঠ ভৈরব মহাসাধক শ্রীশ্রীবামাক্ষ্যাপা একসময় এখানে সেবাইত রূপে কাজ করেছিলেন ।
কিন্তু ভাবে বিভোর মাতৃসাধকের কাজে অবহেলার জন্য চাকরীটি বেশীদিন টেকে নি ।
মৌলীক্ষা মায়ের মন্দির কিভাবে হল?
মুলুটির রাজা রাখড়চন্দ্র এই দেবীর মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা । 
তিনি রাজা হলেও উচ্চমার্গের একজন সাধক ছিলেন। 
রাজকীয় বসন ভূষণ ত্যাগ করে তন্ত্র সাধকদের ন্যায় লাল বস্ত্র, রুদ্রাক্ষ, 
সিঁদুর তিলক ইত্যাদি ধারন করতেন । 
রাজবংশের কুলদেবী ছিলেন দেবী চণ্ডী । একসময়ের কথা । 
সেই সময় কাশীর সুমেরু মঠের মহন্ত ছিলেন শ্রীমৎ দণ্ডীস্বামী দ্বিতীয় সর্বানন্দতীর্থজী । 
একবার রাখড়চন্দ্র রাজা ও শ্রীমৎ সর্বানন্দ তীর্থজী এক স্থান দিয়ে যাচ্ছিল্লেন 
( বর্তমানে এখানেই মন্দির ) । তারা উভয়ে একটি লতাপাতায় আচ্ছাদিত 
ইঁটের ধ্বংসস্তূপ দেখতে পেলেন । শ্রীমৎ দণ্ডীস্বামী দ্বিতীয় সর্বানন্দতীর্থজী 
ঐ স্তূপে কি আছে রাজার কাছে জিজ্ঞেস করলেন। 
বোধ হয় স্বামীজী মহারাজ কিছু দিব্য জ্যোতি দেখতে পেয়েছিলেন । 
রাজা রাখড়চন্দ্র বললেন- “ওখানে কি আছে আমিও জানি না। কোনদিন দেখিও নি।” 
রাজার আদেশে সেনারা লাঠিদিয়ে ঐ লতাপাতা সড়াতে লাগলেন, 
গ্রামাঞ্চলে সর্পের উৎপাত অধিক তাই ভয়ে লাঠি দিয়েই লতাপাতা সড়াচ্ছিল্লেন ।
অবশেষে সম্পূর্ণ লতাপাতা পরিষ্কার করে দেখা গেলো সেটা একটি প্রাচীন ধ্বংস প্রাপ্ত মন্দির। 
মন্দিরের বেদীতে এক দেবীর মূর্তি। শুধু মস্তকটি দেখা যাচ্ছে দেবীর । 
মূর্তির অপূর্ব ত্রিনয়ন। রক্ত বর্ণের মূর্তি। মুখে করুণা মাখা , অপূর্ব লালিত্য মণ্ডিত মূর্তি । 
দেবী মূর্তি দেখে রাজা রাখড়চন্দ্র ভক্তিতে আপ্লুত হলেন । 
তারপর শ্রীমৎ সর্বানন্দ তীর্থজী মহারাজ বললেন- 
“রাজন! তুমি তোমার ইষ্টদেবী চণ্ডী ও এইদেবীকে অভেদ জ্ঞানে সেবা করো।” 
শ্রীমৎ সর্বানন্দ তীর্থজী মহারাজের উদ্যোগে পুরানো মন্দির পরিবর্তন না করে 
সেখানেই ভালোভাবে ইঁটের গাঁথুনী দিয়ে স্থাপন ও মায়ের পূজা অর্চনা শুরু হল ।
মন্দিরের লিপি থেকে জানা যায় রাজা রাখড়চন্দ্রর তৈরী মন্দির ১৭১৯ খ্রীঃ অগ্রহায়ন মাসে নির্মাণ সমাপ্ত হয়। 
তবে কোন বছরে মূর্তি প্রতিষ্ঠা ও পূজো প্রচলিত হয়েছিলো তা জানা যায় না। 
কারন মন্দিরের লিপিটি যে ইঁটের গাথুনিতে লেখা ছিলো তাঁর অর্ধেক খোয়া গেছে। 
তবে আষাঢ শুক্ল পক্ষে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো বলে মনে করা হয় । মন্দিরের বিগ্রহ দেখে এঁনাকে বৌদ্ধ তন্ত্রের দেবী বলে ঐতিহাসিকেরা অনুমান করেন । 
বৌদ্ধ তন্ত্রের দেবী রক্ত বর্ণের হয় । 
অষ্টম ও নবম শতাব্দীতে সমগ্র বঙ্গপ্রদেশে বৌদ্ধ তন্ত্রের ব্যাপক প্রসার ঘটেছিলো । 
তবে এই দেবীকে মুলুটি গ্রাম্যদেবী নামে এখন পূজা করা হয় ।







 Pay For Koushiki Amavashya

Share this:

Post a Comment

 
Copyright © Tarapith - The Land Of TaraMata. Designed by OddThemes | Distributed By Gooyaabi Templates